শেষ বিকেলে দেখা দিতে পারে রোদ

কয়েকদিন ধরে ঢাকাসহ সারাদেশে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দিনভর বাতাসে শীতের দাপট। বেলা গড়াতেই বাড়তে থাকে ঠাণ্ডা। হঠাৎ শীতের দাপটে নাগরিকরা রীতিমতো জবুথবু।

তবে আজ বুধবার আকাশের মেঘলাভাব কেটে যাওয়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। শেষ বিকেলে মিলতে পারে এক চিলতে রোদের দেখাও।

বুধবার সকালে আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান সমকালকে বলেন, সকাল থেকে আকাশ কিছুটা পরিষ্কার হতে শুরু করেছে। দুপুরের পর থেকে মেঘলাভাব আরও কেটে যাবে। শেষ বিকেলে দেশের কয়েক জায়গায় রোদও দেখা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পর বাড়বে শীতের প্রকোপ। ডিসেম্বরের শেষ দিকে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ঘূর্ণিঝড় ফেথাইয়ের প্রভাবে ঢাকাসহ সারাদেশে এ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির হাত ধরে শীত নামার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবারের মধ্যে মেঘ-বৃষ্টিমুক্ত হবে পৌষ মাসের আকাশ। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। এতে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করবে। ক্রমান্বয়ে শীতের অনুভূতি তীব্র হবে। চলতি মাসের শেষ দিকে একাধিক শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

গত রোববার রাতে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা। বৃষ্টি তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টির কারণে তাদের মিটিং, মিছিল ও পথসভা বাতিল করতে হচ্ছে। রশিতে টাঙানো নির্বাচনী পোস্টার বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে।

রাজধানীর বস্তিগুলোর সামনে ছিন্নমূল মানুষ কাগজ-খড়কুটো পুড়িয়ে একটু উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা করেন। রাজধানীর খেটে খাওয়া ও অফিসগামী মানুষ বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েন। তবে বৃষ্টিতে কৃষকের উপকার হয়েছে। বোরো ধান ও শাকসবজির জন্য সুফল বয়ে আনছে বৃষ্টি।

বাংলাদেশে নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই শীত পড়তে শুরু করে। ডিসেম্বরে তা পূর্ণতা পায়। জানুয়ারির শেষে শীতের তীব্রতা কমে। এবার প্রকৃতিতে নিয়ম মেনেই একটু একটু করে শীত আসছে। পৌষের শুরুতেই শীতের অনুভূতি পাচ্ছে মানুষ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment